সাফের আগের ১৪টি আসরই হয়েছিল একটি কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে। ২০০৮ সালে যৌথ আয়োজক ছিল মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত এ টুর্নামেন্ট এক নিয়মেই হয়ে আসছিল। এ বছর অনুষ্ঠেয় ১৫তম আসরে নতুনত্ব আনতে চাইছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এক কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে আয়োজনের ধারা ভেঙে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুধবার কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফের সভা শেষে নিজেদের নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল, ‘প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাসেই আমরা সদস্য দেশগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে সভা করব। সেই সভায় মূলত বাকি বিষয় চূড়ান্ত হবে। যদি কোনো সমস্যা বা বিপত্তি সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে আগের মতো কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে সাফ অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টের প্রাথমিক সময়সূচি ১৫ জুন থেকে ৫ জুলাই।’
অতীতে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাত দেশকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হতো। সেই ফরম্যাট এবারও থাকছে। তাতে গ্রুপ পর্বের দলগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েভিত্তিক খেলবে। সেমিফাইনালও নতুন ফরম্যাটে হবে। অনেকটা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের আদলেই সাফ আয়োজন করার পরিকল্পনা। তবে ফাইনাল ম্যাচটি হতে পারে এক ভেন্যুতে, সেটি নিরপেক্ষই। যদিও এর সবকিছু এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে।
জানুয়ারির মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। গতকাল সাফের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার অনুমোদিত হয়েছে। তাতে এ বছর হবে নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, যা নিজস্ব অর্থায়নে করবে সাফ। আর ছেলেদেরও ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হবে আগামী বছর। সে জন্য সাফের মার্কেটিং কোম্পানি স্পোর্টস ফাইভের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের রূপরেখা নিয়ে আনোয়ারুল হক বলেন, ‘সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি দল অংশগ্রহণ করবে। র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দেশের ক্লাব দুটি আর বাকি দেশগুলো থেকে একটি করে ক্লাব অংশ নেবে। আটটি ক্লাব দুই গ্রুপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। ফাইনালটি হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে।’ পুরুষ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিবছর হলেও নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে এক বছর অন্তর।