বিশেষ সূত্রে প্রকাশ: সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলাধীন দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজে উচ্চ-আদালতের আদেশ অমান্য করে অধ্যক্ষ কার্যালয় ভাংচুর। জানা যায় যে, অত্র কলেজে সভাপতি সাহেবের অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সকল সদস্যের লিখিত মতামত নিয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা নিম্ন আদালতে মামলা করে এবং মামলা নম্বর অ/প্র-৪৬/২০২২। সর্বশেষ উচ্চ-আদালত হতে গত ০২/০৮/২৩ইং তারিখে রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে জনাব মাসুদ রানাকে দায়িত্ব পালনের STATUS-QUO (স্থিতাবস্থা) আদেশ দেন (সিআর নং ৫০৬/২৩)। কিন্তু দু:খজনক যে, সভাপতি সাহেব আদালতের আদেশ অমান্য করে তাহার মনোনীত ব্যক্তিকে দিয়ে কলেজ পরিচালনা করেন। বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা আরো একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৬৫/২৩। উক্ত মামলাটি উচ্চ-আদালতে যায় (সিআর নং ৭১৯৭/২৩)। সভাপতি সাহেব বারবার আদালত অবমাননা করায় গত ২৮/০৫/২৪ইং তারিখে উচ্চ-আদালত অধ্যক্ষ এর STATUS-QUO (স্থিতাবস্থা) আদেশ বজায় রেখে কলেজের বেতন ভাতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন মর্মে আদেশ দেন। উচ্চ-আদালত গত ০৪/০৮/২৪ইং তারিখে সিআর নং ৭১৯৭/২৩ মামলায় রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন ভাতায় বা ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বাক্ষর বিষয়ে অধ্যক্ষ পদে মাসুদ রানাকে দায়িত্ব পালনের আদেশ দেন। খুবই দু:খজনক যে, গত ০৭/০৮/২৪ইং তারিখে দৌলতপুর গ্রামের সোহেল রানা, পিতা-মরহুম ছোহরাব আলী এর নেতৃত্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ও কলেজের উপাধ্যক্ষ ছানোয়ার হোসেন, সহ: অধ্যাপক কেএম খালেকুজ্জামান, সহ: অধ্যাপক শফিউর রহমান সিদ্দিক এবং প্রভাষক হাসানুজ্জামান অধ্যক্ষ এর কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় চেয়ার-টেবিল ভাঙ্গে এবং জরুরী কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস পুড়িয়ে দেয়। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এবং উল্লেখিত ব্যক্তিদের হুমকির কারনে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা কলেজে যেতে পারছেন না। উল্লেখ্য যে, ১৭/০৭/২০২২ইং তারিখ হতে আজ পর্যন্ত কলেজের সকল আদায়কৃত অর্থ কলেজ ফান্ডে জমা না করে উপরে উল্লেখিত শিক্ষকগণ ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন। এই বিষয়টিকে নিয়ে দৌলতপুর গ্রামের সাধারণ জনতা, ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।