1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

বিশেষ বিবাহ আইনে হিন্দু-মুসলিম বিবাহ বৈধ নয়: ভারতীয় আদালত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪
  • ১৯ বার পঠিত

স্বতন্ত্র মুসলিম আইনে হিন্দু-মুসলিমের বিয়ে বৈধ নয়। এমনকি ভারতের বিশেষ বিবাহ আইনে সম্পন্ন হলেও এই বিয়ে অবৈধ। গত ২৭ মে এমন এক রায় দিয়েছে মধ্য প্রদেশের হাইকোর্ট।

প্রেমের পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুসলিম যুবক সাফি খান ও হিন্দু তরুণী সারিকা সেন পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন।

পরে আদালত তাদের বিয়ের আবেদন বাতিল করে দেয়। এমনকি পুলিশি সুরক্ষায় বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের আবেদনও খারিজ করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় সূত্রে জানা যায়, সাফি খান ও সারিকা সেন একে অপরকে ভালোবেসে ছিলেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিয়ে করার।

কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের ধর্ম। কেউ নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাননি। দুই জন দুই ধর্মে থেকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। হিন্দু যুবতীর পরিবার এই বিয়েতে বেঁকে বসেন।
কোনও ভাবেই মুসলিম যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হোক, সেটা কোনও ভাবেই চাননি তারা। পরে আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি।
মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারক গুরপাল সিংহ আহলুবালিয়া বলেন, ভারতে মুসলিম নাগরিকদের জন্য কিছু বিষয়ে ‘স্বতন্ত্র মুসলিম আইন’ রয়েছে। এই আইনের অধীনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বিয়ে, উত্তরাধিকার ও দান-অনুদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব ধর্মীয় পথ অনুসরণ করেন। এ সব মুসলিম আইন কোনো মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অগ্নি উপাসকের বিয়েকে অনুমোদন করে দেয় না।

আদালতের শুনানিতে সাফি এবং সারিকা জানান, তারা ভারতে প্রচলিত বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই আইনটি আলাদা দুটি ধর্মের মানুষদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু দুই পরিবারের হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত এভাবে বিয়ে করতে ব্যর্থ হন তারা। এ অবস্থায় বিয়ে নিবন্ধনের পূর্ব পর্যন্ত আদালতের কাছে নিরাপত্তা দাবির পাশাপাশি দুই পরিবারের দায়ের করা কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই পেতে আবেদন করেন সাফি ও সারিকা।

ওই প্রেমিক যুগলের আইনজীবী জানান, আদালতের কাছে ওই প্রেমিক যুগল দাবি করেন, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের পর তারা ধর্মান্তরিত হবেন না। সারিকা হিন্দুই থেকে যাবেন, আর সাফি মুসলিম। একে অপরের ধর্মীয় আচারের ওপর তারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না। এ ক্ষেত্রে তারা স্বতন্ত্র মুসলিম আইনকে অমান্য করবেন।

তাদের আইনজীবী আদালতে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ম্যারেজ অফিসারদের সামনে পুলিশি সুরক্ষার দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। যদিও তা খারিজ করে দেয় আদালত।

বিচারক আহলুয়ালিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদি আইন অনুযায়ী, একজন মুসলিম যুবকের সঙ্গে যদি মূর্তিপূজারী কিংবা অগ্নি উপাসক কোনো নারীর বিয়ে হয় তবে এটি বৈধ নয়। এমনকি এটি দেশের বিশেষ বিবাহ আইনে অনুষ্ঠিত হলেও নয়। এই বিয়েকে তখন ‘ফাসাদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।’

এদিকে বিয়ের আবেদনের বিরোধিতা করে সারিকার পরিবারের দাবি, তাদের কন্যা স্বর্ণ গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। আর দুই ধর্মের মধ্যে এই বিয়ে সম্পন্ন হলে সামাজিকভাবে তারা একঘরে হয়ে পড়বে।

সূত্র : এই সময়


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD