1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় ব্যবসায়ীদের মাঝে মসলার দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত

বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আজহার সময় মসলার চাহিদা বেশি থাকে। আর বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এমন সময় ব্যবসায়ীদের মাঝে মসলার দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এবারও প্রায় এক মাস আগেই গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। ইতোমধ্যেই এলাচি, জিরা, লবঙ্গসহ প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে গেছে। বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ ও মরিচের দামও। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের। অর্থাৎ এবারও ভোক্তাকে বেশি দামে মসলা কিনতে হবে।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এলাচের দাম গত ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে ১ হাজার টাকার বেশিও বেড়েছে। খুচরায় আগে যে মানের এলাচের কেজি ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছে, সেটা এখন ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের এলাচের খুচরা মূল্য বেড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, লবঙ্গের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত থাকলেও এলাচ, গোলমরিচ, জিরার দাম বেড়েছে। লবঙ্গের কেজি এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। রোজার আগে জিরার বাজারে আগুন জ্বললেও মাঝে তা কমে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় নামে। মসলার বাজারে কোরবানির আঁচ লাগতেই এখন তা আবার বাড়ছে। প্রতিকেজি ৮০০ টাকা হয়েছে। কোথাও কোথাও ৮৫০ টাকা কেজিও বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচের কেজি ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার টাকা হয়েছে। ধনের দামও কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। সামান্য তেজপাতার দাম ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। এ ছাড়া জয়ত্রীর কেজি ৩ হাজার ৬০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। আর জয়ফল প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঠবাদামের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কাজু ও চিনা বাদাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।

মসলার বর্তমান ও এক বছর আগের দর তুলনা করলে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের মসলার দাম এবার বেশি রয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এবার এলাচের দাম ৫৫ শতাংশ, দারুচিনি ১৫ শতাংশ, লবঙ্গ ও তেজপাতা ৬ শতাংশ বেশি রয়েছে। এ ছাড়া মসলাজাতীয় পণ্য আমদানিকৃত পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ ও শুকনা মরিচের দামও বেশি রয়েছে।

মসলার আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। ডলারের বিপরীতে শুল্ক ও করে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এর প্রভাব মসলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে। চাহিদার বিপরীতে আমদানি যথেষ্ট হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত যে পরিমাণ আমদানি হয়েছে তা দিয়ে দুটি ঈদের বাড়তি চাহিদা সামাল দেওয়া কঠিন। তার ওপর কোরবানিতে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরার মতো মসলা পণ্যের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি। অথচ ডলারের দাম বাড়ায়, শুল্ক ও করে বেশি খরচ হওয়ায় আমদানি সেভাবে বাড়েনি। উল্টো এলাচ, জিরার মতো মসলার আমদানি কমেছে।

এদিকে এবার তিন মাস আগেই কোরবানির ঈদের মসলা আমদানি হয়ে গেছে উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ডলার সংকটের কথা বলে এলসি খুলতে না পারার অজুহাতে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খুলতে কোনো সমস্যাও নেই। গত শনিবার রাজশাহীতে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ ও মরিচের দামও। দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ৪০০-৪৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত ২২০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুনের কেজি ২২০-২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি হলুদ ৩০০-৪০০ টাকা এবং আমদানিকৃত ২৮০-৩৫০ টাকা। আমদানিকৃত শুকনা মরিচের দাম ৫০০ টাকা ঠেকেছে।

প্রতিবার একই কায়দায় দাম বাড়ানোর পরও কোনো ব্যবস্থায় না নেওয়ায় কোরবানি ঈদের আগে মসলার অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রীতিতে পরিণত হয়েছে বলে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, মসলার সংকট না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর কোরবানির ঈদের এক-দুই মাস আগে থেকেই মসলা দাম বাড়ার প্রবণতা দেখতে পাই। কেন বেড়ে যায়, কারা বাড়াচ্ছে- সেটা খতিয়ে দেখা হয় না। বারবার একই কায়দায় অতিরিক্ত দাম বাড়ানো হয় এবং এটি প্রতিহত করতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফলে কোরবানি এলেই ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম বাড়ায়। আর বেশি দামে কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মানুষ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD