বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবাগত দল দুর্বার রাজশাহীতে তারকার তেমন ছড়াছড়ি নেই। দলটির সবচেয়ে বড় তারকা বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা পেসার তাসকিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচে দলের হয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন তাসকিন। তবুও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছে ঢাকা।
শেষ ওভারে ৩ উইকেটসহ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। নিজের কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই; সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়েই এটি তাসকিনের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এই পেসারের সেরা বোলিং ছিল ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট। আর সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আগের সেরা বোলিং ছিল ৬৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। টেস্টে এই রেকর্ড করেছিলেন তাসকিন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল ঢাকা। তবে তাসকিনের তোপে শুরুতেই লিটন দাস (০) ও তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় রাজধানীর দলটি। তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন স্টিফেন এসকিনজাই ও শাহাদাত হোসেন দীপু। দুজনে মিলে ৪৫ বলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ৯৩ রানের মাথায় এসকিনজাই (২৯ বলে ৪৬) ফিরলে ভাঙে জুটি।
দীপু শুরুতে প্রায় দুই শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করলেও শেষের দিকে রান তোলার গতি কমে যায়। ৪১ বলে ৫০ রান করে তাসকিনের বলেই রায়ার্ন বার্লকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ঢাকা ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পায় অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ৯ বলে ২১ ও শুভাম রানজানের ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংসে। ৯ বলে ১৩ রান করে অবদান রাখেন আলাউদ্দিন বাবুও।
রাজশাহীর হয়ে তাসকিনের ৭ উইকেট ছাড়া বাকি দুই উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও মোহর শেখ। তবে ২ ওভার করে বল করে দুজনই ইকোনমি দশের ওপর করে রান দেন। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে বেশ খরুচে ছিলেন একসময় বাংলাদেশ দলে খেলা পেসার শফিউল ইসলাম।