স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের চিন্তা-চেতনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন, মেধা-মননের বিকাশ ও সমাজ পরিবর্তনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারে উত্তরা পশ্চিম অঞ্চল জামায়াত আয়োজিত ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত একটি সুখী-সমৃদ্ধ, ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ গঠনে আমরা আপসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিপরীতে আমরা সুদমুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা দিয়ে সফল হয়েছি। অথচ আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংকই সুদভিত্তিক। আমরা দারিদ্র বিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট গ্রহণ করেছি। এতে প্রমাণিত হয়েছে দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্ব মুক্ত করা সম্ভব। জামায়াত দারিদ্র বিমোচনে ও বেকারত্বরোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশ আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতো।

এ সময় তিনি দেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাহবুবুর রহমানের পরিচালনা ও ড. মীম আতিকুল্লাহর দারসূল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে প্রধান আলোচকের আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মডেল থানা আমির ইব্রাহিম খলিল, উত্তরা পশ্চিম আমির মাজহারুল ইসলাম, উত্তর পূর্ব থানা আমির মাহফুজুর রহমান, খিলক্ষেত পশ্চিম থানা আমির হাসনাইন আহমেদ, তুরাগ মধ্য থানা আমির গাজী মনির হোসাইন, তুরাগ দক্ষিণ থানা আমির আবু বকর সিদ্দিক, উত্তরা পশ্চিম থানা আমির মতিউর রহমান, মকবুল আহমেদ, কামরুল হাসান, বদিউজ্জামাল, ফিরোজ আলম ও মুহিব্বুল্লাহ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি