চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। তবে বন্যার কারণে এ বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ৯৯৭০ জন। এদিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার হয় ২০ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া অসাধু উপায় অবলম্বনের কারণে একজন কক্ষ পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এবার সিলেট বোর্ড ছাড়া ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিতির হার ১.০৭ শতাংশ।
পরীক্ষার প্রথম দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে র্পৌঁছাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
পরীক্ষায় অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানান, প্রতিবছরই কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে। ফরম ফিলআপ করার পরও বিভিন্ন কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন না। গতবছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় ১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে পরীক্ষার বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তুতির অভাব, অসুস্থতা বা দেশের বাইরে যাওয়ার কারণে ও অনেক সময় ফরম ফিলআপ করা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন না।
পরীক্ষা শুরুর পর তপন কুমার সরকার বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পর বৃষ্টিপাত ও যানজটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ভোগে পড়ে। তাই তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা চলাকালে বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত সময় দিতে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট ছাড়া গতকাল সারাদেশে আটটি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্যদিয়ে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টিপাত ও যানজটের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।