খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই দুই জেলায় বসবাস করা সকল নাগরিককে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি এসব জেলার বসবাসকারীদের আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো এসব বার্তা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসরত সকল নাগরিককে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। অপরাধীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
এদিকে, গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইএসপিআর অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ ‘চিফ অ্যাডভাইজার জিওবি’ থেকে করা একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।’
গত বুধবার খাগড়াছড়িতে গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবারও খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বুধবারের ঘটনার জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৩ জন।
এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে রাঙামাটি জেলাতেও। রাঙামাটিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।