মূল্যায়ন পদ্ধতির দিক থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়, আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাবার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তাঁর এ যৌক্তিক ও দূরদর্শি চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে দেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। গতকাল সোমবার সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জমিয়াত নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে চলমান কারিকুলাম পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবে। বিশেষ করে ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলামকে কলুষিত ও বিতর্কিত করার অভিপ্রায় ছিল এ কারিকুলামের মূল লক্ষ্য। যার ভবিষ্যৎ ভয়াবহতা অনুধাবন করে প্রণয়নকৃত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহারের দাবীতে সর্বপ্রথম দেশের সকল জেলায় একযোগে জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ফলশ্রুতিতে কিছু পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনলেও সিংহভাগ বহাল থাকে।
শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ কারিকুলাম পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেজন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আশাবাদী প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে চলমান কারিকুলামের আমূল পরিবর্তন আসবে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের কথা চিন্তা করে সকল পাঠ্যপুস্তক পুনঃযাচাই করার মাধ্যমে ইসলামি ভাবধারা অক্ষুন্ন রেখে নতুন রূপে কারিকুলাম প্রণয়ন করবেন।
জমিয়াত সভাপতি ও মহাসচিব মাদরাসা শিক্ষার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড গঠন করে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়নের বিষয়ে জোর দাবী জানান। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একই সাথে শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত করে নির্দলীয় ও শিক্ষানুরাগীগণের সমন্বয়ে গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের জন্য অনুরোধ জানান।