1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

এবার হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকার বাসিন্দা এসএম আমীর হামজা শাতিল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। প্রথমে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন জানান। বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সরাসরি ‘এজাহার’ হিসেবে গ্রহণ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন। দেড় দশকের স্বৈরশাসন শেষে ছাত্র-জনতার এক অভূত অভ্যুত্থানে উৎখাত হয়ে ভারত পলায়নের পর এটিই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মো: হারুন অর রশীদ এবং ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২/১৪৯/৩৪ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। বাদী এসএম আমীর হামজার শাতিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আল মামুন।

মামলার শুনানিকালে ওই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। তাই উপস্থিত অনেকেই বুঝতে পারেননি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলাটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী থানায় এখন মামলার নম্বর পড়বে। আজ (বুধবার)-কালের মধ্যেই হয়তো পুলিশ এটি আদালতে পাঠিয়ে দেবে। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী করণীয় সাব্যস্ত করবেন।

এজাহারে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এ পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ নিহত হন। আদাবর এলাকার বাসিন্দা আমীর হামজা শাতিল দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিরীহ আবু সায়েদকে হত্যার বিচার চেয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে আরো বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় নতুন বস্তিপ্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী-সন্তান সেখানেই বসবাস করেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এজন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

বাদী তার আর্জিতে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করতে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এজাহারকারী এসএম আমীর হামজাসহ বাগেরহাট,ফকিরহাট থানাধীন রসুল ঘর গ্রামের মরহুম শেখ অলিমুদ্দিনের পুত্র শেখ ইফতেখার আহমেদ,মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থানাধীন কৃষ্ণপাড়া গ্রামের মো: বজলুর রহমানের পুত্র আব্দুস সামাদ, ১৫,দারুসসালাম রোডের বাসিন্দা এসএম রফিকুল ইসলাম মেশকাত,তার পুত্র এসএম হাসানুল ইসলামকে আপাত: সাক্ষী করা হয়েছে।

শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের ‘খুনি, ক্ষমতালোভী এবং নির্যাতনকারী’ বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতি সঞ্চার হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার দমন পীড়ন শুরু করে ১ ও ২ নম্বর আসামির নির্দেশে পুলিশবাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়।

বিগত ১৯/০৭/২০২৪ তারিখে বিকেল ৪টার সময় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় হাজার হাজার ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিলো। সেই আন্দোলন দমানোর জন্য পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এ সময় মোহাম্মদ বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিলো। কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়া পুলিশ বর্ণিত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে আবু সায়েদকে হত্যা করেছে।

১ নম্বর আসামি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন চলাকালে শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২ নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩ নম্বর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৪ নম্বর আসামি হারুন-অর-রশীদ এবং ৬ নম্বর আসামি তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার এবং ৭ নম্বর আসামি বিপ্লব কুমার ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ৫ নম্বর আসামি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। অন্যান্য অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতাকে আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে হত্যা করে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া আবশ্যক।

আবু সায়েদ হত্যার তদন্ত হলে তৎকালীন সরকারের আরো অনেক মন্ত্রী, অজ্ঞাতনামা এমপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিশের সদস্যদের নাম উঠে আসবে।

প্রসঙ্গতঃ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্য আসামিরা লাপাত্তা হয়ে যান। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এটিই তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রথম মামলা। নালিশী মামলা হিসেবে দায়েরের পর শুনানি শেষে আদালত এটিকে সরাসরি এজাহার গণ্য করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট :
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রিট করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ রিটটি ফাইল করেন। রিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা ছাত্র-জনতা হত্যা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চাওয়া হয়েছে নির্দেশনা। শিঘ্রই রিটটির শুনানি হবে-মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই আইনজীবী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD