1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

এবার রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর সরকার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৮৬ বার পঠিত

আগামী রমজানে অবশ্য-প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। দেশের মানুষ যেন স্বস্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় শপথ নেওয়ার পরপরই শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াহয়। এরই ধারাবাহিকতায় অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা; ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় চলছে তাদের বৈঠক। কড়া নজরদারির পাশাপাশি দেশজুড়ে চালানো হচ্ছে বিশেষ অভিযান। সে সঙ্গে রোজার পণ্যগুলোর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি সহজীকরণ ও শুল্ক কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে।

কিন্তু এরপরও পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, আটা, চিনি, ছোলা, খেজুরের মতো পণ্যগুলোর বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বিপুল মুনাফা লুটে নিতে সক্রিয় অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। বারবার একই কায়দায় কারসাজি করে পার পেয়ে যাওয়ায় এ প্রবণতা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। এ বছর অনেক আগে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেটগুলো। রোজার দেড় মাস আগেই চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও কারসাজিকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। তারা যে কোনো কৌশলে অতি-মুনাফার ফন্দি আঁটেন। তাদের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকাও জরুরি। এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে চাহিদা ও সরবরাহের সঠিক তথ্য থাকতে হবে। সেসব তথ্য সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক কিংবা স্বাভাবিকের কাছাকাছি ধরে রাখাটাও চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনে আমদানি ও আমদানিতে শুল্ক কমানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই কারসাজিকারিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নইলে কারসাজি আরও বাড়বে। গত বুধবারও নওগাঁর মান্দায় নিত্যপণ্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ মজুদ জব্দ করা হয়েছে। উপজেলার পরাণপুর ইউনিয়নের সোনাপুর ও কালিতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন দেখতে পায়, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি গোডাউনে একটিতে ১৩ হাজার ১৩৫ লিটার সয়াবিন তেল, ১ লাখ ২৮ হাজার কেজি গম, ৮ হাজার কেজি আটা, ২৭ হাজার ১৭৫ কেজি ছোলা, ৪ হাজার ৫০ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৭০০ কেজি বুট, ৫ হাজার ৯২০ কেজি পামওয়েল এবং ১ হাজার ২০০ কেজি লবণ মজুদ করা হয়েছিল। আরেকটি গুদামে ৭ হাজার ৪৭৪ কেজি ময়দা, ৩ হাজার ৬৬৭ লিটার সরিষার তেল, ১ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কেজি গম, ৫ হাজার ৪০৪ লিটার পামওয়েল, ৪ হাজার ৫৩ লিটার সয়াবিন তেল, ১ হাজার ৬০০ কেজি মুড়ি, ২৩ হাজার ৭৫ কেজি অ্যাংকর ডাল (ছোলা), ৩৭৫ কেজি ছোলা, ৪ হাজার ৫৭৫ কেজি মসুর ডাল এবং ৮ হাজার ৭০০ কেজি চিনিসহ বিপুল পরিমাণ গোখাদ্য পাওয়া যায়। অবৈধভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাসুদ রানাকে আটক করেন ইউএনও।

রোজাকে সামনে রেখে এরকম আরও অনেকে অবৈধভাবে পণ্যের মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। ফলে বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। সম্প্রতি চালের বাজারেও অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে বেড়ে গেছে ছোলা, খেজুর, ভোজ্যতেল, মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। এ দৌড়ে রয়েছে চিড়া-মুড়িও।

এরই মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে অবৈধ মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করেছেন কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। চালের বাজারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে মজুদদারদের বারবার সতর্ক করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। চালের এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয় বলেন তিনি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় গতকাল খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। সারাদেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। অনেক হাসকিং মিলে ঘাস গজিয়ে উঠেছে, বিদ্যুৎয়ের সংযোগ নেই। অথচ এমন মিলেও অবৈধ মজুদ পাওয়া যাচ্ছে। অবৈধ মজুদদারি যারা করে তারা যে দলের হোক, যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে পবিত্র রমজানে কম লাভে পণ্য বিক্রয় করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। গতকাল তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন আছে, বাজারে মাছ, ডিম, মুরগি সব আছে, কিন্তু দাম অনেক সময় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। উৎপাদক ও ভোক্তার মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা আছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি লোভের আকাক্সক্ষার রাশ টেনে ধরতে হবে।

বর্তমান বাজার চিত্র বলছে, চালের দাম বাড়ায় মানুষের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। ছোলাসহ বিভিন্ন ডাল, আটা-ময়দা, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় রমজান মাসের বাজার খরচ নিয়ে এখনই শঙ্কায় রয়েছেন তারা। অথচ, দুষ্টু ব্যবসায়ীদের কারসাজি থেমে নেই। একের পর এক পণ্য নিয়ে চলছে চালবাজি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা দাগে চাল, ডাল, আটা-ময়দা, খোলা ভোজ্যতেল, ছোলা, আদা, রসুন, মসলা, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। বাজারে এ বৃদ্ধির হার আরও বেশি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মন্ত্রীরা অসাধু ব্যবসায়ীদের কড়া হুশিয়ারি দিচ্ছেন। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এটা ইতিবাচক। মন্ত্রীরা যে ইতিবাচক কথাগুলো বলছেন, তাতে কতটা সুফল মিলবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটা তখনই কাজে আসবে, যখন দেখবো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে এবং সরবরাহ চেইনে যে বিপত্তিগুলো ঘটে সেগুলো দূর হলে। তিনি যোগ করেন, কেবল ‘হুমকি-ধমকিতে’ সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বাস্তবায়নও হতে হবে, নইলে তা প্রহসন হয়ে যাবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা দেখছি বিভিন্ন মন্ত্রী হুশিয়ারি দিচ্ছেন। কিন্তু কেবল হুশিয়ারিতে কাজ হবে না। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও থাকতে হবে। যারা প্রকৃত কারসাজিকারি তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করতে হবে। এছাড়া বাজার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সমন্বয় থাকতে হবে। নইলে সব মিলিয়ে হিতে বিপরীতও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজারে প্রতিযোগিতার ঘাটতি আছে। দেখা যাচ্ছে আমদানিনির্ভর অনেক পণ্যে, এমনকি দেশে উৎপাদিত পণ্যগুলোতেও হাতেগোনা কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনটা হলে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাবে। বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে নতুন ব্যবসায়ীদের প্রবেশ সুগম করতে হবে। আমাদের এখানে দেখা যায়, সামান্য ট্রেড লাইসেন্স নিতেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, উৎপাদন নিয়ে আমাদের সরকারি যে পরিসংখ্যানগুলো রয়েছে সেগুলোতে ত্রুটি রয়েছে। এটা অন্যতম বড় সমস্যা। প্রকৃত পরিসংখ্যান লাগবে। বাজারে বাজারে অভিযান-জরিমানাকে বাজার মনিটরিং বলে না। উৎপাদান, চাহিদা ও সরবরাহের পরিসংখ্যানগুলোকে মনিটরিং করতে হবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। সেটাই হচ্ছে প্রকৃত মনিটরিং।

দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত ২৪ জানুয়ারিও নিজ কর্যালয়ে আয়োজিত বাজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করেছি। আমরা গোপনে কাজ করছি। এবার শুধু খুচরা ব্যবসায়ী আর পাইকারদের ধরব না। মার্কেট ও বাজার কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি শুল্ক কমানোর ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজান সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। সেটা নিয়ে কাজ করছি।

এর আগে ২়ারি ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ককর ছাড় দিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক ও কর কমলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য তিনটির দাম কমতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD