দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংগঠিত সামরিক অভ্যুত্থানের অন্যতম সেনা কর্মকর্তা শরিফুল হক ডালিম। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত মেজর শরিফুল হক ডালিমের লাইভ সাক্ষাৎকার দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় সরাসরি প্রচারিত এই সাক্ষাৎকার ৮ লক্ষাধিক দর্শক একযোগে উপভোগ করেন, যা ইউটিউবে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ইলিয়াসকে নিশ্চিত করেছে যে, এটি তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন।
মেজর ডালিম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সাক্ষাৎকারটি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচ্য হয়ে উঠেছে, যেখানে মেজর ডালিম তার জীবনের অজানা অধ্যায় ও নানা বিতর্ক নিয়ে খোলামেলা মতপ্রকাশ করেন। সাংবাদিক ইলিয়াসের সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৫৯ লাখ ২৪ হাজার জন দেখেছেন। মন্তব্য করেছেন ৩৬ হাজার ৮০৩ জন দর্শক। মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে— খুব অল্প সংখ্যক মানুষই মেজর ডালিম কিংবা সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে বেশির ভাগ মানুষই তাদেরকে জাতীয় হিরো হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাবা গত ৩০ বছর আগে আমাকে যা বলেছিলেন, তা মেজর ডালিমের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ মিল আছে। আমার বাবা আমাকে ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দিয়েছিলেন।’ আরো একজন লিখেছেন, ‘আমার বাবা একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার কাছে আমি যা যা শুনেছিলাম ৯৫ শতাংশ মিলে গেছে, সেলুট জানাই মেজর ডালিম স্যারকে আপনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার বয়স ৪০ বছর ওভার, এতদিন মেজর ডালিম (স্যার) সম্পর্কে শুধু শুনেছি, উনি বেঁচে আছেন সেটাও জানতাম না, পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার আগে আমার দেশের এক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারলাম, ইলিয়াস ভাই আপনাকে ধন্যবাদ দিলে অনেক ছোট হয়ে যাবে সেটা, আমি বলবো অসম্ভবকে সম্ভব করাই হলো সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ভাই এর কাজ।’ একজন লিখেছেন, ‘ইলিয়াস ভাইয়ের মতো আমিও মেজর ডালিমকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই অখ্যায়িত করছি এবং তখনকার ওই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিমকে জানাচ্ছি সংগ্রামী শুভেচ্ছা।’