ডিজেল ও কেরোসিনের দাম নতুন করে নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রতি লিটারে বর্তমান মূল্য থেকে ১ টাকা কমানো হয়েছে। নতুন দর আজ থেকে কার্যকর হবে। গতকাল (৩০ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গত মার্চ থেকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। এবার ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের প্রতি লিটারে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। প্রতি লিটার পেট্রলের বর্তমান মূল্য ১২৭ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনের মূল্য ১৩১ টাকা।
এর আগে গত ৭ মার্চ ঘোষিত দামে চার ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম কমায় সরকার। ওই সময় লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনে ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৬ এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা ধার্য করা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সককার। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি পণ্যটির স্বয়ংক্রিয় দর নির্ধারণ ফর্মুলার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় সব জ্বালানির লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয়। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম জ্বালানি বিভাগ নির্ধারণ করে। এছাড়া উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।