1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৯১ বার পঠিত

স্পোর্টস নিউজ ডেস্ক: চলমান বিশ্বকাপে ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ে একের পর এ ম্যাচে বড় বড় সংগ্রহ গড়ে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেমিফাইনালে এসেই যেন খেই হারিয়ে ফেলল দলটি। আসরের দ্বিতীয় সেমিতে ছোট পুঁজি নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও ৩ উইকেটে হেরে গেল প্রোটিয়ারা। ফলে অষ্টমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয় দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ২১২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ও ১৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অজিরা।

২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় অস্ট্রেলিয়ার। ৬.১ ওভারে ৬০ রান তোলেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। অবশেষে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পার্টটাইম বোলার এইডেন মার্করাম। ১৮ বলে ঝড়ো ২৯ রান করা ওয়ার্নার বোল্ড হন। পরের ওভারেই নতুন ব্যাটার মিচেল মার্শকে শূন্য রানে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের দারুণ এক ক্যাচে ফেরান কাগিসো রাবাদা।

এরপর স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে ছোট আরেকটি জুটি গড়েন হেড। তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও। তবে ভালো খেলতে থাকা এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত কেশব মাহারাজের বলে বোল্ড হন। তিনি ৪৮ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রান করেন।

চায়নাম্যান স্পিনার তাবরাইজ শামসি এরপর মার্নাস লাবুশানে ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করলে ম্যাচে ফেরে প্রোটিয়ারা। লাবুশানে ১৮ রান করে এলবি হন। আর ম্যাক্সওয়েল ১ রানে বোল্ড হন। জশ ইংলিসকে নিয়ে স্মিথ ছোট জুটি গড়লেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। জেরাল্ড কোয়েটজির বলে তুলে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিণত হন। ৬২ বলে ৩০ রান করেন তিনি। জশ ইংলিস ২৮ রান করে কোয়েটজির বলে বোল্ড হন।

শেষ দিকে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট পান কোয়েটজি ও শামসি। রাবাদা, মার্করাম ও মাহারাজ একটি করে উইকেট দখল করেন। স্টার্ক ১৬ ও অধিনায়ক কামিন্স ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানের মাথায় আসরজুড়ে অফফর্মে থাকা প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা মিচেল স্টার্কের আঘাতে বিদায় নেন। ৮ রানের মাথায় জশ হ্যাজেলউডের বলে প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও। অথচ তখন হয়ে গেছে ৩৪ বল। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে মাত্র ১৮ রান।

পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই আবারও উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই স্টার্কের বলেই ফেরেন এইডেন মার্করাম। এরপর জুটি বাঁধেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও হেনরিখ ক্লাসেন। তবে পরের ওভারেই আবার হ্যাজলউডের বলে ফেরেন ডুসেন। এরপর বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে বেশকিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তবে ওভার কমানো হয়নি।

পঞ্চম উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তারা ১১৩ বলে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে অনিয়মিত বোলার ট্রাভিস হেডের এক ওভারে জোড়া আঘাতে ফের বিপর্যয়ে পড়ে দ. আফ্রিকা। এই স্পিনার ক্লাসেনকে বোল্ড করার পর মার্কো জানসেনকে শূন্য রানে ফেরান। ডানহাতি ক্লাসেন ৪৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ করেন।

অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ডেভিড মিলার। এই বাঁহাতি সপ্তম উইকেটে জেরাল্ড কোয়েটজির সঙ্গে ৭৬ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। প্যাট কামিন্সের বলে ১৯ রানে ফেলেন কোয়েটজি। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিলার। সেঞ্চরিতে রেকর্ডও গড়েন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে নকআউট পর্বে কোনো ছয় নম্বর ব্যাটারের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া নকআউটে প্রোটিয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিসংও এটি।

কিন্তু শতক তুলে পরের বলেই আউট হন এই ব্যাটার। তিনি ১১৬ বলে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০১ রানে কামিন্সের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। শেষের ব্যাটাররা সেভাবে স্কোর করতে না পারায় ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।

অজি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পান স্টার্ক ও কামিন্স। এছাড়া দুটি করে উইকেট দখল করেন হ্যাজেলউড ও হেড।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD