নির্বাচনের পর পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে শুরু হলো অধিবেশন। স্পিকার সিবতাইন খানের সভাপতিত্বে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর শুরু হয় অধিবেশন।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
৮ ফেব্রুয়ারি যে পাঁচটি প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার মধ্যে পাঞ্জাবেই সর্বপ্রথম নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেন। স্পিকার সিবাইত খান তোদের শপথবাক্য পাঠ করান।
পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচনের ৬০ ঘণ্টা পর প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্য দলগুলো পেয়েছে ১৭টি আসন। পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যায় না পৌঁছানোয় জোট সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।
জোট সরকার গঠনে একমত হয় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ। আর প্রেসিডেন্ট হবেন পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। আর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে মরিয়ম নওয়াজকে।
শুক্রবারের অধিবেশনে পিএমএল-এন, পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ও সুন্নি ইত্তেহাজ কাউন্সিল (এসআইসি) এর নেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
অধিবেশনে ২১৫ সদস্য পিএমএল-এন এর আর এসআইসি এর সদস্য সংখ্যা ৯৭ জন।