নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে, আলোকসজ্জা ও আতশবাজির মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষ-২০২৪ বরণ করেছে রাজধানীবাসী। আজ সোমবার রাত ১২টা এক মিনিটে আতশবাজি ও ফানুসে আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানীর আকাশ। প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদে রঙ- বেরঙের ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে বরণ করছে আবালবৃদ্ধবনিতা। আনন্দের জোয়ারে ভাসে রাজধানীবাসী। উৎসবে জোয়ারে শীত কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতিটি ছাদে ছাদে চলে উৎসবের প্রতিযোগিতা।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের নামে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি না ফোটানোর ও ফানুস না উড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ডিএমপির পক্ষ থেকেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোর ওপর কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গতকাল রবিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার জানান, ২০২২ সালের থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রায় ১০০টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যাতে আনুমানিক ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো থেকে ২০২১ সালে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এবং আতশবাজির উচ্চশব্দে তানজিম উমায়ের ওরফে মাহমুদুল হাসান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫৬ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় রাজধানী। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চেকপোস্ট। সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে।