স্পোর্ট নিউজ: ভারতের চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। তাদের রেকর্ড ২৫৯ রানের পার্টনারশিপে পাকিস্তানকে ৩৬৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে অজিরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জীবন পাওয়া ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৬৩ রান করেন। অন্যদিকে মিচেল মার্শ করেন ১০৮ বলে ১২১। পাকিস্তানের হয়ে শাহীন আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন।
বেঙ্গালুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড ২৫৯ রান সংগ্রহ করে অজিরা। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৩ রান ছিল সর্বোচ্চ।
তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুই লঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও তিলাকরত্নে দিলশানের ২৮২ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডটি অক্ষত থেকে যায়। ৩৩.৫ ওভারে আফ্রিদির বলে ফেরার আগে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শ। খেলেন ১০৮ বলে ১০ চার ও ৯ ছয়ে ১২১ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। পাশাপাশি বিশ্বকাপে জন্মদিনে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর এই কীর্তি গড়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১৩১ রানের অনবদ্য খেলেছিলেন কিউই ব্যাটার। মার্শ ফেরার পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
অন্য প্রান্তে তখনও পাক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে যান ওয়ার্নার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ভাইস ক্যাপ্টেন শাদাব খানের বদলে পাকিস্তানের একাদশে জায়গা পাওয়া লেগ স্পিনার উসামা মীর।
কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ নিয়ে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে স্মিথ ফিরে গেলেও একের পর এক চার ছয় হাঁকিয়ে দেড়শ রান পূরণ করেন তিনি। ৪২.১ ওভারে হারিস রউফের বলে ফেরার আগে ১৪ চার ও ৯ ছয়ে ওয়ার্নার করেন ১৬৩ রান। দ্রুত উইকেটের পতনে কিছুটা রানের গতিতে প্রভাব পড়ে অজিদের।
শেষদিকে স্টয়নিসের ২১ ও ইংলিশে ১৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। শাহীন আফ্রিদি ৫টি, হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মির ১টি উইকেট পান।