নতুন বছরের বক্তৃতায় বিস্ময়কর ঘোষণা দিলেন ডেনমার্কের রানী দ্বিতীয় মার্গ্রেথ। রাজত্বের ৫২তম বার্ষিকীতে আগামী ১৪ জানুয়ারি যুবরাজ ফ্রেডেরিকের হাতে সিংহাসনের ভার ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
বাবা রাজা নবম ফ্রেডেরিকের মৃত্যুর পর ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি সিংহাসনে আসীন হন মার্গ্রেথ।
রাজকীয় প্রাসাদ থেকে এক বক্তৃতায় রানী বলেন, আমি মনস্থির করেছি যে এটাই উপযুক্ত সময়। আমার প্রিয় বাবার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ৫২ বছর পর ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি আমি ডেনমার্কের রানীর পদ থেকে সরে দাঁড়াব। সিংহাসন আমার ছেলে যুবরাজ ফ্রেডেরিকের কাছে ছেড়ে দিচ্ছি।
রানীর বয়স এখন ৮৩। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তিনিই ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন রানী।
গত ফেব্রæয়ারিতে রানী শরীরে সফল অস্ত্রোপচার হয়। সেই কথা স্মরণ করে বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করার সময় এসে গেছে কিনা তা নিয়ে ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছিল এ অস্ত্রোপচার।
এ ঘোষণার পর রানীকে দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন। স্তুতি বাক্যের মাঝে তিনি এও বলেন, রানী মার্গ্রেথ হলেন ডেনমার্কের প্রতিচ্ছবি।
আরো জানান, নতুন বছরে যুবরাজ ফ্রেডেরিককে রাজা ঘোষণা করা হবে। যুবরানী মেরি পাবেন রানীর মর্যাদা।
২০০৪ সালে যুবরাজ ফ্রেডেরিকের সঙ্গে বিয়ের পর প্রিন্সেসের মর্যাদা পান অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মেরি ডোনাল্ডসন। তাসমানিয়ায় বেড়ে উঠা মেরির সঙ্গে ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকের সময় ফ্রেডেরিকের দেখা। এর দুই বছর পর কোপেনহেগেনে চলে আসেন হবু রানী।
প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন বলেন, ডেনমার্ক, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ ও গ্রিনল্যান্ডের কাছে রানী দ্বিতীয় মার্গারেটের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
১৯৪০ সালে জন্ম নেয়া মার্গ্রেথ ডেনমার্কের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাকে প্রায়শই কোপেনহেগেনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। তার উষ্ণ আচরণ খুবই প্রশংসিত। ভাষাবিদ ও নকশাকার হিসেবে পরিচিতি আছে তার। ডেনমার্ক ছাড়াও নিয়মিত আধা-স্বতন্ত্র দুই ডেনিশ রাজ্য গ্রিনল্যান্ড ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করতেন তিনি। বয়স হওয়া সত্তে¡ও সামরিকসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন