দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার। এখন বাজারে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত আটার ৫৫-৬০ টাকায়। খোলা ময়দা ৬০-৬৫ এবং প্যাকেটজাত ময়দা বাজারে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চিনির বাজারেও দেখা গেছে অস্থিতিশীলতা। খোলা চিনির বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে। রয়েছে প্যাকেটজাত চিনির তীব্র সংকট। প্যকেটজাত চিনি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।
দাম কমেছে পেয়াজের, বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ আসায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি এসেছে মাংসের বাজারে। গরুর মাংসের দাম কমায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। এক মাস আগের দামের তুলনায় কেজিতে দেড়শ টাকা কম। গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির মাংসেরও। ব্রয়লার কেজি প্রতি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি কেজি প্রতি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। দাম কমেছে বিভিন্ন চাষের মাছের। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। চাষের তেলাপিয়া আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। প্রকারভেদে চাষের রুই পাওয়া যাচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা দরে। কমেনি চিংড়ির দাম, প্রতি কেজি এখনও বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
কমেছে ডিমের দামও, সাদা ও লাল ডিম প্রতি ডজন পাওয়া যাচ্ছে ১১০ ও ১২০ টাকা দরে। সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর এই প্রথম খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন আব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত ১ মাসে বাজারে ডিমের দাম কমেছে সাড়ে ২১ শতাংশ। গত মাসে ১ হালি ডিম কিনতে ৫০ থেকে ৫২ টাকা গুনতে হলেও এখন প্রতি হালি ডিম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকায়।