অধিনায়কের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সোমবার ১৪৪ রানের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে তাদের সবচেয়ে বড় জয় এটি। ২০২২ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১১১ রানে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
এ দিন জিম্বাবুয়ের করা ২১৫ রান এই সংস্করণে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওই ম্যাচের ২৩৬ সর্বোচ্চ। বড় লক্ষ্যে রুয়ান্ডা গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭১ রানে। ১১ রানে ৩ উইকেট পেসার নেন রিচার্ড এনগারাভা।
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রাজা বোলিং শেষ করেন ২.৪ ওভারে ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। এর আগে ব্যাট হাতে করেন ফিফটি। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেন ৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই।
জিম্বাবুয়ের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কা এখন রাজার, ৬৯টি। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন হামিল্টন মাসাকাদজাকে (৬৫টি)।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একই ম্যাচে অর্ধশতক ও হ্যাটট্রিক করা মাত্র দ্বিতীয় পুরুষ খেলোয়াড় রাজা। এর আগে এই কীর্তি ছিল নামিবিয়ার জেজে স্মিটের। ২০২২ সালে উগান্ডার বিপক্ষে স্মিট দেখিয়েছিলেন অন্যতম সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স—৩৫ বলে ৭১ রানের সঙ্গে ১০ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি, নিয়েছিলেন ২টি ক্যাচও। আজ রাজা হ্যাটট্রিক করেন রুয়ান্ডার শেষ তিন ব্যাটসম্যান—মোহাম্মদ নাদির, জাপ্পি বিমেনইয়েমানা ও এমিল রুকিরিজাকে আউট করে।
এই ম্যাচে রেকর্ড গড়া জয় পেলেও আগের দিন বিব্রতকর এক হারের তেতো স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে। প্রথমবার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেই তাদের হারিয়ে দেয় উগান্ডা।
৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৭ দলের তালিকায় তিনে উঠেছে জিম্বাবুয়ে। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে কেনিয়া দুইয়ে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে নামিবিয়া শীর্ষে আছে।
সাত দলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল পাবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট।