কর্নাটকের গভর্নর শেখ হাসিনার মতো পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। গভর্নর চাঁদ গেহলটকে এই হুঁশিয়ারি দেন ইভান ডিসুজা। গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতে অনিয়ম, দুর্নীতির পরিণতি হিসেবে এখন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ টানা হচ্ছে। এমনকি ভারতের রাজনীতিকদের মুখেই শেখ হাসিনার অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। তারা নিজেদের দেশে অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে অকপটে শেখ হাসিনার উদাহরণ টানছেন।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, মহিসুর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমইউডিএ) দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গভর্নর থাওয়ার চাদ গেহলটকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রীকে অনিয়ম করে জমি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন গভর্নর। এজন্য তাকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে না নিলে তার পরিণতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো হবে বলে সতর্ক করেছেন ডিসুজা।
ইভান ডি’সুজা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি এমইউডিএ যদি গভর্নরকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে না নেয়, তাহলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) মতো একই পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে তাকেও। গভর্নরকে পালিয়ে যেতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার অনুমোদন করেছেন গভর্নর থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে করুণ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেসের এই নেতা। তাতে তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিণতির সঙ্গে গভর্নরের পরিণতিকে এক সমান্তরালে নিয়ে এসেছেন। গভর্নরের এই উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তিনি একে বেআইনি এবং কর্তৃত্বের বাইরে বলে দাবি করেছেন। সিদ্ধারামাইয়া আরও দাবি করেছেন এই বিচার এই মুহূর্তে তার সুনামের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। উপরন্তু তাতে সরকারে বিঘ্ন ঘটবে। রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। আদালত তাকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আগামী ২৯শে আগস্ট তার বিরুদ্ধে শুনানির আগে কোনো ব্যবস্থা না নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগে বলা হয়েছে এমইউডিএ জমি বরাদ্দ দিতে গিয়ে অনিয়ম করেছে। তাতে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতীকে জমি দেয়া হয়েছে। এটা ঘটেছে সিদ্ধারামাইয়া যখন এর আগের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অধিকারকর্মীরা বলছেন, মহিসুরের ১৪টি প্রিমিয়াম সাইটের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রীকে। এটা বেআইনি। এতে রাজ্যের ৪৫ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে।