মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের আগাম টিকিট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয় কাউন্টার ও অনলাইনে। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। অনেকেই বলছেন, কালবাজারি হওয়ায় এত তাড়াতাড়ি টিকিট শেষ হয়ে গেছে। টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, অনলাইনে অনেকেই টিকিট কেটেছেন, তাই কাউন্টারে টিকিট কম থাকায় অনেক যাত্রীই টিকিট পাননি।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ননস্টপ হওয়ায় সাধারণ আন্তঃনগর ট্রেনের চেয়ে ভাড়া বেশি ধরা হয়েছে। তবে অল্প সময়ে দ্রুত যাতায়াতের জন্য প্রথম দিনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ১-৩ ডিসেম্বরের টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার ট্রেনে যেতে সকাল থেকেই টিকিটের জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে। তবে অনেকেই টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। এরপর ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত ৪টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। একই ট্রেন কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। এই ট্রেন চট্টগ্রামে আসবে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটির শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিট শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। এছাড়া, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ৬৯৬ টাকা।