1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

ইসরাইলের ওপর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৭ বার পঠিত

ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার জন্য দায়ী উগ্রপন্থীদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেটেলার বা বসতি স্থাপনকারীদের পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে তিনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। যদিও এ নিষেধাজ্ঞা সহিংসতার জন্য ফিলিস্তিনি কেউ অভিযুক্ত হলে তার জন্যও প্রযোজ্য হবে।

গত সাত অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন এ নিষেধাজ্ঞা উগ্রপন্থী কয়েক ডজন ইসরাইলি ও তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে কাদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে সেটি আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পদক্ষেপকে বসতি স্থাপনকারীদের প্রতি ইসরাইল সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সিনিয়র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ও বেজালেল স্মতরিচ- দু’জনেই এর আগে পশ্চিম তীরের সহিংসতাকে আড়াল করার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এই দুই মন্ত্রী নিজেরাও সেটেলার। গত কয়েক সপ্তাহে পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা বিবিসিকে জানাচ্ছিল যে, ইসরাইলি সেটেলাররা আরও ভূমি দখলের জন্য গাজার যুদ্ধকে ব্যবহার করছে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুসালেম ও পশ্চিম তীরে দখলে নেয়ার পর থেকে অন্তত আড়াইশ সেটেলমেন্ট বা বসতি নির্মাণ করেছে ইসরাইল, যেখানে সাত লাখেরও বেশি ইহুদি বসবাস করে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশই এভাবে বসতি নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অবৈধ মনে করে। যদিও ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করে না। জাতিসংঘ বলছে গত সাত অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ৩১৪টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে তারা। এতে ফিলিস্তিনি হতাহত হওয়া ছাড়াও ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের হাতে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ পুণরায় শুরু হওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বাইডেন প্রশাসন একদিকে ইসরাইলকে বেসামরিক মৃত্যু হ্রাস করার কথা বলছে, অন্যদিকে সামরিক সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে। তারা সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ইসরাইলকে চাপ দেয়ার মত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সহ শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা, উত্তরে হামলার সময়কার মতো ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরাইলকে দক্ষিণে তাদের অভিযান পরিচালনা করার জন্য আরও সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এবং সোমবারের মধ্যে ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় প্রায় ৯০০ জন নিহত হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৭ অক্টোবরে হামাসের আন্তঃসীমান্ত অভিযানের পর চারদিন ধরে গাজায় হামলায় প্রায় একই সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে।

দুই মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ওয়াশিংটন এখন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা বা ইসরাইলকে তার কৌশল পরিবর্তনের উপায় হিসাবে কঠোরভাবে সমালোচনা করতে চাচ্ছে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে, ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার বিদ্যমান কৌশল কার্যকর হবে। ‘আমরা মনে করি আমরা যা করছি তা কার্যকর হচ্ছে,’ একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রথমে গাজায় সাহায্য ঢুকতে দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও পরে দিনে প্রায় ২০০ ট্রাক সহায়তা ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এ উন্নতিগুলো হুমকি নয়, তীব্র কূটনীতির ফলাফল।

দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার তিন দিন পর মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরাইলকে বেসামরিক মৃত্যু হ্রাস করার কথা বলেছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলের প্রতি সামরিক সহায়তা কমানো বড় ধরনের ঝুঁকি বহন করবে। ‘ইসরাইলকে সাহায্য কমানো শুরু করলে, অন্যান্য পক্ষ সংঘাতে আসতে উৎসাহিত হবে, এটি প্রতিরোধের প্রভাবকে দুর্বল করবে এবং ইসরাইলের অন্যান্য শত্রুদের উৎসাহিত করবে,’ কর্মকর্তা বলেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থনকে অটুট বলেছে। ফলে ইসরাইলি সরকারকে তার কৌশল পরিবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক দাবি অচল বলে মনে হচ্ছে। নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ওফির ফাক গত সপ্তাহে ইসরাইলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি অবশ্যই স্বীকার করছি যে প্রধানমন্ত্রী শূন্য চাপ অনুভব করছেন এবং আমাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব।’

ভয়ংকর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা : আবার লড়াই শুরু হওয়ায় গাজা ভয়ংকর ক্ষুধা সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি)। সাতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি ছিল। তখন গাজায় কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে। তা বিতরণ করার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ডাব্লিউএফপি জানিয়েছে, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এই বিষয়ে যতটা এগোনো জরুরি ছিল, তা হয়নি।’

তারা জানিয়েছে, ‘নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার ফলে ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কর্মীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।’ ডাব্লিউএফপি বলেছে, ‘আমাদের কর্মীদের জন্য গাজা ভূখণ্ডে নিরাপদ, বাধাহীন ও দীর্ঘকালীন যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই। তাহলেই তারা মানুষের কাছে জীবনদায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবে। একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তি হলেই এই মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। ডাব্লিউপিএফ তাই দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চায় এবং সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।’

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দা করা উচিত : জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মঙ্গলবার বলেছেন যে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বা এর সীমানার বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ইসরাইলের যে কোনও প্রচেষ্টাকে বিশ্বের নিন্দা করা উচিত। আম্মানে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের পরে রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার দ্বারা পরিচালিত মন্তব্যে, বাদশাহ আবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, ইসরাইলের নিরলস বোমা হামলা পরিস্থিতির ‘বিপজ্জনক অবনতির’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডৌলিডসের সাথে আলোচনা গাজায় বসবাসকারী বিপর্যস্ত বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ বিতরণের প্রচেষ্টা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আবদুল্লাহ পশ্চিমা নেতৃবৃন্দকে ইসরাইলের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য লবিং করেছেন যাতে নিরবচ্ছিন্ন সাহায্যের প্রবাহ এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করে খোলা ক্রসিংগুলিকে পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রয়োজনীয় সাহায্য আনার অনুমতি দেয়।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান ইরানের : বিশ্ব সম্প্রদায়কে ইসরাইলি তৈরি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ হওয়া উচিত। মঙ্গলবার কাস্পিয়ানের শীর্ষ কূটনীতিকদের একটি বৈঠকে এ কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলে জ্বালানি রপ্তানি বন্ধ করা এবং ইসরাইলে উৎপাদিত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন – গাজার জনগণের সাথে যে আমরা আছি তা দেখানোর জন্য কমপক্ষে এটি অন্তত করা যেতে পারে।’ ‘তা ছাড়াও, ইসরাইলি সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত,’ তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন।

বিরল সফরে সউদী ও আমিরাতে যাচ্ছেন পুতিন : এক দিনের বিরল সফরে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এ ঘোষণা দিয়েছে। দুই দেশ সফরে পুতিন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে মস্কো সফর করবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বুধবার সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন পুতিন। আলোচনায় থাকবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, হামাস ও ইসরাইলের সংঘাত ও অপর আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী। পেসকভ বলেছেন, ওপেকপ্লাসের অধীনে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়টিও এজেন্ডায় থাকবে। পুতিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের কথা প্রথম ঘোষণা দেন তার পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তবে তিনি সফরের কোনও তারিখ জানাননি।

এমন সময় পুতিন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দুটি দেশ সফর করবেন যখন অঞ্চলটিতে নিজেকে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির করতে চাইছে মস্কো। পেসকভ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। অক্টোবরে চীন সফর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশও সফর করেন তিনি। সূত্র : আল-জাজিরা, ডিডব্লিউ, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD