1. banglahost.net@gmail.com : rahad :
  2. salim@dailynewsporikroma.com : salim_porikroma :
  3. z2dUz2dz2dUz@example.com : z2dUz2dz2dUz :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা
এবার আরেক মাইলফলকে রোনালদো মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণি ঝড়, ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল আবার সড়কে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, মহাখালী-গুলশান সড়কে যানচলাচল বন্ধ জামায়াত দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জবি ক্রিকেট বিশ্লেষক সাংবাদিক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ এক বছর পর আজ মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ‘আমি ব্রিটিশ পুলিশ না, রাস্তায় আমার লোককে লাঠিপেটা করতে চাই না’ : ডিএমপি কমিশনার ছাত্ররা দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

আগামী রবিবার ও সোমবার পুনরায় ৪৮ ঘটনার অবরোধ ঘোষণা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৯২ বার পঠিত

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধ পালনের পর ফের আগামী ৫ নভেম্বর রোববার ও ৬ নভেম্বর সোমবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনের এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগের মতোই রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশের সড়কপথ, নৌ পথ ও রেল পথ অবরোধ করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলা এবং এক উপজেলার সঙ্গে অন্য উপজেলার সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের গুলি ও হামলায় নিহত ৭ নেতাকর্মী, একজন নেতার স্ত্রী ও একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শুক্রবার দোয়া ও মোনাজাতের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এদিন সারা দেশের সব মসজিদে এই দোয়া ও মোনাজাত হবে। একই ধরণের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা, হত্যার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। হরতাল ও পরবর্তীতে অবরোধ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ও স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতারা। বিএনপি ও সাধারণ মানুষের এই অবরোধে টানা তিনদিন সারাদেশের সঙ্গে রাজধানী কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। একইভাবে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগও ছিল বিচ্ছিন্ন। অবরোধের তিনদিন সরেজমিনে রাজধানী ঘুরে ও ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে ইনকিলাব প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর পরিবহন মালিক সমিতি বাস চলাচলের ঘোষণা দিলেও ওই তিনদিন রাজধানী থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ঢাকা ছেড়ে যায়নি, ঢাকার বাইরে থেকে কোন বাসও ঢাকায় আসেনি। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনালগুলোতে বাস কাউন্টার ছিল বন্ধ। পরিবহন মালিক ও চালকরা জানান, যাত্রী না থাকায় বাস চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল শ্যামলী পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার মাস্টার প্রভাত কুমার জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন গন্তব্যে গাবতলী কাউন্টার থেকে ৬০টি গাড়ী ছেড়ে গেলেও অবরোধের সময় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার মাস্টার আসগর আলী বলেন, যাত্রীরা আতঙ্কে বাইরে বের হচ্ছে না। দূরপাল্লার বাস না চললেও সাভার, নবীনগর, ইপিজেড পর্যন্ত কিছু লোকাল বাস চলাচল করছে, তবে তা সংখ্যায় খুবই কম।

রাজধানীতে দেখা যায়, সাধারণ দিনে ঢাকা শহর যানজটে স্থবির হয়ে থাকে। কিন্তু অবরোধের সময় ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কই ছিল ফাঁকা। মাঝে মাঝে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ী ও গণপরিবহন দেখা যায়। কিন্তু সেগুলোতেও যাত্রী ছিল ফাঁকা। অধিকাংশ গাড়ীই আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছিল। ভিক্টর পরিবহনের চালক আমিরুল জানান, রাস্তায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ বের হচ্ছে কম। ফাঁকা বাস নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পুরো রুটে।
একাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরি প্রয়োজন যাদের তারাই বের হচ্ছে, প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষ খুব একটা দেখা মেলেনি। একই চিত্র দেখা যায় সদরঘাটে, যাত্রী না থাকায় লঞ্চগুলো সদরঘাট ছেড়ে যায়নি, ঢাকার বাইরে থেকেও কোন লঞ্চ ঢাকায় আসেনি। তবে রেল যোগাযোগ ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিটি ট্রেনই ছিল অন্য দিনের তুলনায় অনেক ফাঁকা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলাতেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী পিকআপ, ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে হয়ে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দলটির ২৭২জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হয়েছে ১৬টি, এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ জনকে, আহত হয়েছেন ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী।

আর ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ, হরতাল, অবরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল পর্যন্ত বিএনপির ৪ হাজার ৫৫৫ জনের অধীক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৯৬টির অধিক। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭৬ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন নেতাকর্মী, এক জনের স্ত্রী এবং একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন।

মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে- ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের দিন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় যুবদল নেতা শামীম। ২৯ অক্টোবর হরতাল শেষে বাড়ি ফেরার পথে আদাবর থানার সাবেক যুবদল নেতা বর্তমানে আদাবর থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুর রশিদকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর করার পর একটি নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করে। ২৯ অক্টোবর ফরিদপুরের নগরকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার বাড়ীতে পুলিশ তল্লাশীর নামে ভাংচুর চালায় এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি প্রদর্শনের সময় তার স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগম ভয় পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিনের সদস্য ও সচিত্র সদেশের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক রফিক ভুঁইয়া ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে তার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পুলিশ বাহিনীর ছোড়া টিয়ার শেলে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। ৩১ অক্টোবর অবরোধ চলাকালে কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়াকে পুলিশ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। ১ নভেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালবাজারে বিএনপির অবরোধ চলাকালে পুলিশ গাড়ী চাপা দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই দিন কুমিল্লা দক্ষিণের বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেনকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের নির্যাতনে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শাখার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ আশিক মিয়া ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন পুলিশের টিয়ারশে গুরুতর আহত হয়ে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

গতকাল অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খিলগাঁও থানার সামনে ছাত্রদল নেতা ডা. আউয়ালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করে ছাত্রদল, ধোলাইপাড় থেকে দয়াগঞ্জ অবরোধ করে বিএনপি, ধানমন্ডিতে বিএনপি ও ছাত্রদল, এয়ারপোর্ট রোডের খিলক্ষেত এলাকায় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে ছাত্রদল, কাটাবন এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ল্যাব এইডের সামনে যুবদল, শান্তিনগরে স্বেচ্ছাসেবক দল, শাহজাহানপুরে যুবদল, এছাড়া শেরে বাংলানগর, বনশ্রীসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এদিকে গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। একই সময়ে ঢাকা উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া ও আমিনুল হকের ড্রাইভার মো. মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থেকে বিশিষ্ট আর্টিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সঞ্জয় দে রিপন এবং ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা শিপন, শাহ আলী থানা বিএনপির মো. সোলায়মান দেওয়ান, মুগদা বিএনপির মনির হোসেন, মহানগর দক্ষিণের মো. শিহাব, আফজাল হোসেন মঞ্জু, মো. বাদল মোল্লা, খন্দকার ওসমান গণি খান টুটুল, মো. স্বপন, মো. মাসুদ রানা, খালিদ কিবরিয়া লাকি, শামীম, মো. মোকসেদ মিয়া, শোয়েব আহমেদ ফারুক, মাহবুব উর রহমান ফারুক প্রমুখকে গ্রেফতার করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD