ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজ সোমবার জরুরি সভা ডেকেছে। দলের একাধিক নেতার ভাষ্য সভায় চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী রাখা-না রাখা; অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে সাংগঠনিক সফর; দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণ।
গণভবনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে সভা। গতকাল রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই দলের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা। এতে সমকালীন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে বিশাল বিজয়, সেটি নিয়েও কথা হতে পারে। এ ছাড়া দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করে সামনে দিকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘জরুরি সভায় কোনো এজেন্ডা থাকে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কিনা, কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে তার কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বর্ধিতসভা করা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। জেলা সফরের আগে গণভবনে সফরের বিষয়ও চূড়ান্ত হতে পারে আজ।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের যৌথ সভা হয়।যৌথসভায় উঠে আসা দলের আলোচনার সারাংশ আজ শেখ হাসিনাকে জানানো হবে।
সারাদেশে ৪৯৫ উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার উপযুক্ত। এবারও কয়েকধাপে এ নির্বাচন হবে। আগামী মার্চে প্রথম ধাপের নির্বাচন শুরু হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রস্তুতি ও কৌশল কি হবে সে বিষয়ে আজকের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য দৈনিক জানান, বিরোধী দলগুলোর রাজনীতির গতিবিধির আলোকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে।
দলের সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য জানান, নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন বড় চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা। এ বিষয়টিতে সফল হওয়ার জন্য দলীয়ভাবে যা যা করণীয় তাও সভায় আলোচনা হতে পারে।