অবশেষে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে যুক্ত হল বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম থেকে পুরনো স্টেশন দোহাজারী হয়ে নতুন তৈরি করা স্টেশন ছুঁয়ে দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে ইঞ্জিনসহ ৯ বগির রেল চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছে।
হুইসেলের আওয়াজ শোনার সাথে সাথে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করে এক নজর রেল দেখতে। স্থানীয় মানুষের মাঝে অন্যরকম আবেগ অনুভূতি উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। এই স্টেশনে রেলটি এক ঘণ্টা অবস্থান করে। এই সময়ে উপস্থিত নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু কিশোররা রেলসহ সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। বিকাল ৩ টা ৩৭ মিনিটে চকরিয়া স্টেশন ছেড়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে রেলটি। রেলে নিজেদের কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ছিলেন।
কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও স্বপ্ন ছিল এই জেলা থেকে রেলে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে যাবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ট্রায়াল আলামত চকরিয়ার মানুষ স্বচক্ষে দেখে রবিবার (৫ নভেম্বর)।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমাদের এলাকায় রেল চলছে দেখে খুবই ভাল লাগছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কথায় নয় কাজে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও প্রত্যাশা পূরণ করেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের রেলের আগমন। পূর্ব বড় ভেওলার কৃষকরা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে রেলস্টেশন হওয়ায় আমরা সহজে রেলে করে কৃষি পণ্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় নিয়ে যেতে পারব, পাব ন্যায্যমূল্য।
রেলপথের মধ্যে চকরিয়ায় পৃথক তিনটি রেলস্টেশন করা হয়েছে। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সীমান্তে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন।